BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) পাহাড়ঘেরা এলাকায় আটকা পড়ে আছে তিনটি বন্য হাতি। বন উজাড় ও চলাচলের পথ সংকুচিত হওয়ায় খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় প্রায়ই তারা লোকালয়ে চলে আসছে। এতে প্রাণহানিসহ ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।সম্প্রতি কেইপিজেড এলাকায় হাতির আক্রমণে তিন মাস বয়সী এক শিশু মারা যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে চার দিনের মধ্যে হাতি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।হাতির আবাস ধ্বংস: বন বিভাগের অভিযোগবন বিভাগ বলছে, কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে পাহাড় ও বন কেটে হাতির আবাসস্থল ধ্বংস করছে। চলাচলের পথে বাড়ছে অবকাঠামো, যানবাহন ও মানুষের আনাগোনা। ফলে হাতিগুলো তাদের স্বাভাবিক পথ হারিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হাতিগুলো তাড়াতে আগুন জ্বালানোসহ বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা তাদের আরও ক্ষিপ্ত করে তুলছে। এছাড়া আগে থাকা এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ বাস্তবায়নে গড়িমসিবন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় গঠিত ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গত বছরের নভেম্বরে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ১৯টি সুপারিশ করা হয়।