BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদ থেকে অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, হল প্রভোস্ট এবং প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক-প্রশাসনিক এবং শৃঙ্খলার কাজে বিভিন্ন সমস্যার দেখা দিয়েছে।এছাড়া চলতি বছরের ৪ জুলাই থেকেই কোষাধ্যক্ষের পদে থাকা অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান মেয়াদ শেষ করার পর শূন্যই আছে পদটি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিভিন্ন কাজেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে জানা যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক- প্রশাসনিক এবং আর্থিক কার্যক্রম চালাতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের সাক্ষর দরকার হয়, নতুন মাসে শিক্ষক, কর্মর্কতা- কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জন্য উপাচার্য অথবা কোষাধ্যক্ষের সাক্ষর প্রয়োজন। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান মেয়াদ শেষ করে চলে যাওয়ার পর নতুন কোষাধ্যক্ষ না থাকায় আর্থিক কাজগুলোতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর্থিক কাজগুলো চালাতে পারলেও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নানা নাটকীয়তা শেষে অবশেষে ১৯ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এছাড়া শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। পদত্যাগের আগে ১৪ দিন অফিস না করায় মোট ১৩ টি পরীক্ষার ফলাফল জমে গিয়েছিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে। তবে পদত্যাগের আগে সেগুলোতে স্বাক্ষর করে যাওয়ার পর আরো চারটি বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল জমা হয়েছে দপ্তরে। এই মুহূর্তে এই ফলাফল গুলোকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার কেউ নেই। এছাড়া প্রশ্ন মডারেশন, গেস্ট টিচার নিয়োগ সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে দপ্তরটি।