BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
ঈদ-উল ফিতর ও নববর্ষের টানা ছুটিতে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ ও পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য পর্যটকদের ঢল নেমেছে।পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের পাশাপাশি ১২ এপ্রিল থেকে এখানে বৈসাবী উৎসব শুরু হওয়ার ফলে পর্যটকদের আনাগোনা এবার অনেকাংশে বেড়েছে।পর্যটন মোটেল হোটেলগুলোতে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। আলুটিলা গুহা, রিচাংঝর্ণা, দেবতা পুকুর, পানছড়ির শান্তিকুটির, হাতিরমাথা, হর্টিকালচার পার্কসহ সব পর্যটন সম্পদগুলোতে পর্যটকদের ভিড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।হোটেল মালিক হাজী ছালেহ আহম্মদ জানান, তাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। পর্যটন মটেলের উত্তম কুমার মজুমদার ম্যানেজার জানান, তাদের মোটেলে বুকিং নেওয়া হচ্ছে না, এখন কোনো সিট ফাকা নেই।
খাগড়াছড়িতে ৪র্থ দফায় টানা ৪ দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, মোহাম্মদপুর, আদর্শপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অন্তত ১০-১৫ টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।এতে আদর্শপাড়ায় দিনমজুর হানিফ (৬০) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ির উপর পাহাড় ও গাছপালা ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর থেকে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে জেলা সদরের গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবাসহ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশত পরিবার। নদী ও ছড়ার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে মাছের পুকুর, আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি।উল্লেখ্য খাগড়াছড়ি জেলায় গেল ২৪ ঘন্টায় ৬৫ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান জানান, বন্যা ও পাহাড় ধসের ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা নির্ধারন করা হয়েছে।