BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
ইমন সরকার, ভালুকা উপজেলা প্রতিনিধি।।ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা আজ এক ভিন্ন আলোয় উদ্ভাসিত। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের ধারায় গড়ে ওঠা এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তার পরিকল্পিত ও নিরলস প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে পুরো উপজেলার চিত্র।সরাসরি পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, ইউএনও কার্যালয়, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চলছে সুপরিকল্পিত সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। রঙিন ফুলের বাগান, দেয়ালজুড়ে চিত্রকলার ছোঁয়া, পরিচ্ছন্ন সড়ক এবং নান্দনিক আলোকসজ্জায় বদলে যাচ্ছে পরিবেশের দৃশ্যপট। এসব উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝেও জন্ম নিয়েছে এক নতুন উদ্দীপনা।ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভালুকার এই নতুন রূপের ছবি ও ভিডিও। নেটিজেনরা ইউএনও’র এই সময়োপযোগী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মন্তব্য করেছেন— প্রশাসনিক উদ্যোগের এমন মানবিক রূপ বাংলাদেশে অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,”ভালুকা আমার কর্মস্থল, আমার দায়িত্ব। আমি চাই এ উপজেলা পরিচ্ছন্ন ও মানবিক পরিবেশে পরিচালিত হোক। প্রশাসনের দরজা জনগণের জন্য সবসময় খোলা — এটা যেন শুধু কথায় না, বাস্তবেও প্রমাণ হয়। পরিচ্ছন্নতা শুধু সৌন্দর্যই নয়, এটি মনন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেরও প্রতীক। আমরা চাচ্ছি জনগণও এই কাজের অংশীদার হোক। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ সবার দারুণ সাড়া পাচ্ছি।”স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও ইউএনও’র এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।ভালুকার বাসিন্দারা জানান,"আগে সরকারি অফিস মানেই নিরস পরিবেশের কথা ভাবতাম। এখন পরিষদ প্রাঙ্গণে ঢুকলেই মনে হয় কোথাও বেড়াতে এসেছি। এই পরিবেশ আমাদেরও উৎসাহিত করে নিজেদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে।"বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালুকায় গড়ে ওঠা এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যচর্চার আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলাগুলোর জন্যও হতে পারে এক অনুকরণীয় মডেল। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে, তা স্থায়ী পরিবর্তনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।ভালুকার এই রূপান্তর যেন প্রমাণ করছে— প্রশাসনিক সদিচ্ছা, জনগণের অংশগ্রহণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মিলে বদলে দেওয়া সম্ভব একটি গোটা এলাকার ভাগ্য।