logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - জাতীয়- শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও দেয়ালজুড়ে গ্রাফিতির ইতিহাস

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও দেয়ালজুড়ে গ্রাফিতির ইতিহাস

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও দেয়ালজুড়ে গ্রাফিতির ইতিহাস। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাফিতি। সময় বদলালেও দেয়ালের ভাষা বদলায়নি। একের পর এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


আবু বকর থেকে আবরার পর্যন্ত: দেয়ালে প্রতিবাদের ইতিহাস


২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হন আবু বকর। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তখন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে তার গ্রাফিতি আঁকা হয়, প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে রং-তুলি।


২০১৮ সালে ঘটে আরেক হৃদয়বিদারক ঘটনা। সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিককে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তার চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখন পুরো দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, দেয়ালজুড়ে ফুটে ওঠে রফিকের নির্যাতন আর আবরারের নির্মম হত্যার চিত্র।

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রংতুলির গ্রাফিতিতে রঙিন ভোলা.

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রংতুলির গ্রাফিতিতে রঙিন ভোলা.

শামসুন নাহার হলের নির্যাতন ও গ্রাফিতিতে প্রতিবাদ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেয়ালে আঁকা হয় একটি ড্রাগন গ্রাফিতি, যা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিতে প্রতীকী প্রতিবাদের রূপ নেয়। ষাটের দশকের বিখ্যাত কবিতা ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়...’-এর পঙ্‌ক্তির মতো, এই গ্রাফিতিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধের ভাষা হয়ে ওঠে।


‘চিকা মারা’ শব্দের উৎস


বাংলাদেশে দেয়াল লিখন বা গ্রাফিতিকে ‘চিকা মারা’ বলা হয়। তবে এর পেছনের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পাকিস্তান সরকার পূর্ব বাংলার ওপর নানা বৈষম্য চাপিয়ে দেয়। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আলকাতরার তৈরি ব্রাশ দিয়ে দেয়ালে সরকারবিরোধী স্লোগান লিখতেন।


কিন্তু পুলিশের টহল এলেই তারা ঝোপঝাড়ে ব্রাশ মারতে শুরু করতেন এবং পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলতেন, “চিকার উপদ্রবে থাকা যায় না, তাই চিকা মারছি।” পুলিশের ব্যারাকেও তখন চিকার সমস্যা ছিল, তাই পুলিশ তাদের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে চলে যেত। সেখান থেকেই ‘চিকা মারা’ শব্দটি দেয়াল লিখনের সমার্থক হয়ে ওঠে।


দেয়ালে প্রতিবাদের গল্প আজও চলছে


সময় বদলেছে, কিন্তু দেয়ালের ভাষা বদলায়নি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অন্যায্যতার বিপক্ষে, অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে শিক্ষার্থীরা বারবার তাদের অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন দেয়ালের রঙে। এই গ্রাফিতি শুধু ছবি নয়, এটি সময়ের সাক্ষী, প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও দেয়ালজুড়ে গ্রাফিতির ইতিহাস

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাফিতি। সময় বদলালেও দেয়ালের ভাষা বদলায়নি। একের পর এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


আবু বকর থেকে আবরার পর্যন্ত: দেয়ালে প্রতিবাদের ইতিহাস


২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হন আবু বকর।

পরে ৩ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তখন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে তার গ্রাফিতি আঁকা হয়, প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে রং-তুলি।


২০১৮ সালে ঘটে আরেক হৃদয়বিদারক ঘটনা। সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিককে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তার চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখন পুরো দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, দেয়ালজুড়ে ফুটে ওঠে রফিকের নির্যাতন আর আবরারের নির্মম হত্যার চিত্র।