যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিয়েছেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেসে সর্বকনিষ্ঠ নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া স্টেফানিক কূটনৈতিক এই গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত হলেন, যখন বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।
এক সময়ের মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা স্টেফানিক ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দিকের সমালোচক ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি ট্রাম্পের বিশ্বস্ত সমর্থকে পরিণত হন। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প স্টেফানিককে “অবিশ্বাস্য রকমের দৃঢ় এবং শক্তিশালী” উল্লেখ করে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন।
ইসরায়েলের প্রতি কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত স্টেফানিক হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পদক্ষেপে জাতিসংঘের যথাযথ সহায়তার অভাব নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। গত মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘে অর্থায়ন পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানান। গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের দাবি করার প্রেক্ষাপটে এই দাবি তোলেন তিনি।
সব কিছু ঠিক থাকলে স্টেফানিক জাতিসংঘে বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ডের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। সিনেটরদের সমর্থন পেলে স্টেফানিক আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে মনোনীত করায় তিনি কৃতজ্ঞ এবং তাঁর সিনেট সহকর্মীদের সমর্থনের অপেক্ষায় আছেন।
উত্তর নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে ওঠা এলিস স্টেফানিক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। প্রথমে তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে হোয়াইট হাউসে অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে সিনিয়র সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০১২ সালে পল রায়ানের প্রচারাভিযানে শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শেষে তিনি নিজ এলাকা উত্তর নিউইয়র্কে ফিরে আসেন এবং প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ডেমোক্রেটিক পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকা আসনে জয়লাভ করেন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!