BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
রংপুরের হাজারো আলুচাষি এখন চরম দুশ্চিন্তায়। মাঠ থেকে উত্তোলন করা আলুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তাঁরা, আবার সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারের ব্যবস্থাও নেই। ফলে লোকসানের শঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের।হিমাগারে জায়গা নেই, কৃষকদের দুর্ভোগ চরমেতালুক উপাসু গ্রামের কৃষক কাজল মিয়া এবার প্রায় এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। জমির ইজারা ও বীজ আলুর উচ্চমূল্যের কারণে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ২০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ১৩ থেকে ১৪ টাকা হওয়ায় প্রতি কেজিতে তাঁকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। হিমাগারে রাখার জায়গাও মিলছে না, ফলে দিশেহারা অবস্থায় আছেন তিনি।শুধু কাজল মিয়াই নন, জেলার আরও বহু কৃষক একই সমস্যার মুখোমুখি। রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার জেলায় প্রায় ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৪ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু হিমাগারে সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে মাত্র ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টনের। অর্থাৎ, মোট উৎপাদিত আলুর প্রায় ৭৮ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই।হিমাগার সংকট ও দীর্ঘ প্রতীক্ষারংপুরে বর্তমানে ৪০টি হিমাগার রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র একটি সরকারি। এই হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের জায়গা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফলে কৃষকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। নগরের বিনোদপুর এলাকার এক হিমাগারের সামনে ১২ মার্চ বহু কৃষককে সারাদিন অপেক্ষা করতে দেখা যায়, তবে সবাই আলু সংরক্ষণের সুযোগ পাননি।