BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
বাংলাদেশের আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লুৎফুন নাহার লতা। হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী নাটক ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’ ও ‘চর আতরজান’-এ অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় টিভি নাটকের অন্যতম ব্যস্ততম শিল্পী ছিলেন লতা, মঞ্চেও ছিল তার সরব উপস্থিতি। কিন্তু ১৯৯৭ সালে হঠাৎই দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, হারিয়ে যান বিনোদনজগৎ থেকে।সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে এক সাক্ষাৎকারে লতা ভাগ করে নেন তার জীবনের নানা চড়াই-উতরাইয়ের গল্প। নিউইয়র্কে থিতু হওয়া, একাকী মাতৃত্ব, জীবনসংগ্রাম ও সাফল্যের পেছনের কঠিন বাস্তবতাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি।নিউইয়র্কে চোখে জল, মাটির ব্যাংক ভেঙে খাবার জোগাড়সাক্ষাৎকারে নিউইয়র্কে কাটানো প্রথম দুঃসহ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে লুৎফুন নাহার লতা বলেন, “আমি আনন্দ করতে করতে নিউইয়র্ক যাইনি। জীবন সোনার পালঙ্ক নয়। নিউইয়র্কের রাস্তায় আমার চোখের জল পড়েছে। এমনও দিন গেছে, যখন আমার ঘরে খাবার ছিল না। পাঁচ বছরের বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে কাপ ভর্তি খুচরো পয়সা ভেঙে চাল-আলু কিনেছি, সেদ্ধ করে খাইয়েছি। কিন্তু জীবন একবেলা খাবারের জন্য থেমে থাকে না। কর্মী হিসেবে পা দুটো শক্ত করে দাঁড়াতে হয়। মনোবলই সবচেয়ে বড় শক্তি।”প্রথম দিকে থাকার জায়গা ও কাজ খুঁজে পাওয়াই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দেশ থেকে অনেক টাকা নিয়ে যাননি, ছোট বোনের বাসায় মাত্র দুই দিন ছিলেন, এরপর একা নতুন বাসা ভাড়া নিয়ে জীবনযুদ্ধ শুরু করেন।নারীদের উদ্দেশে লতার বার্তানারী হিসেবে একা বাঁচার লড়াই কঠিন, তবে অসম্ভব নয়—এটাই বিশ্বাস করেন লুৎফুন নাহার লতা। তিনি বলেন, “আমি পৃথিবীর সব মেয়েদের বলতে চাই—নারীদের জীবন সহজ নয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশেও নারীদের ওপর অনেক দায়িত্ব। কিন্তু নারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি তার সাহস, আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তা। নারীরা যা করতে পারে, ২০ জন পুরুষও তা করতে পারে না। তাদের এগিয়ে যেতেই হবে।”ব্যক্তিগত জীবন: প্রথম স্বামীকে ক্ষমা করে নতুন অধ্যায়প্রথম স্বামী নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বহু বছর একা জীবন কাটিয়েছেন লতা। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মার্কিন নাগরিক ও শিক্ষক মার্ক ওয়াইনবার্গকে বিয়ে করেন।