BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
মোঃ আব্দুর রহমান (আয়ান): বিদ্যুতের ঘনঘন আসা-যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রায়পুর উপজেলা বাসী। সাধারণ মানুষকে দুঃসহ গরমে দিন-রাত পোহাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ের তীব্র যন্ত্রণা। ঝড়ের কারণে বিদ্যুত্ বিভ্রাট অনেকটা স্বাভাবিক। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেও বিদ্যুত্ থাকে না। সেটিও অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে বিনা অজুহাতে বিদ্যুত্ না থাকায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। না ঝড় না বৃষ্টি, তবুও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে না। এ অবস্থা চলছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলেআকলিমা বেগম নামের এক গ্রাহক জানান, প্রতিদিন চার-পাঁচ বার করে তার এলাকায় বিদ্যুত্ থাকছে না। প্রতি বারে বিদ্যুত্হীন থাকার পরিমাণ প্রায় ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। রহমত উল্যা জানান, প্রতিদিন অন্তত দুই বার করে লোডশেডিং হচ্ছে।রায়পুরে বিদ্যুতের ডিজিএম শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভা ও কয়েকটি ইউপির কিছু এলাকায় সমস্যা হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা হচ্ছে। উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। মোট ১ হাজার ৩১৮ কিলোমিটারে আবাসিক ৭৯ হাজার ৯২২ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক সাত হাজার ৬৩৯ জন। রায়পুর শহর, সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া, চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ ও চরবংশি ইউপির আখনবাজারে স্থাপিত চারটি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১২টি ফিডের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সঞ্চালন লাইন। ৩০ জন লাইনম্যান প্রতিদিন গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৯ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দিনে ও রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ির মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও আমাদের করার কিছুই নেই। তবে আশাকরি খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে!