BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান লন্ডনে যান। ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’য় আটক থাকা অবস্থায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা তাঁর আইনি সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন। তাঁদের সহায়তায় বিখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী টমাস উইলিয়াম ঢাকায় এসে মামলাটি পরিচালনা করেন। লন্ডন সফরে শেখ মুজিবের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর কর্মকর্তা ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর (নাথবাবু) যোগাযোগ হয়। আসন্ন রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা কিছু প্রস্তুতিমূলক আলোচনা করেন।বিএলএফের উত্থান ও প্রস্তুতিশেখ মুজিব ঢাকায় ফিরে এসে তাঁর চার আস্থাভাজন যুবনেতা—শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদকে সংগঠিত হতে বলেন। এই চারজনের ওপর মুজিব আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি নির্ভর করতেন।এ সময় বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) নামের একটি সংগঠনের জন্ম হয়। ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘পিন্ডি না ঢাকা’, ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণের প্রস্তুতিও চলছিল। শেখ মুজিব নিজেই এর পরিকল্পনা করেন এবং কলকাতা থেকে ‘র’-এর অপারেটিভ চিত্তরঞ্জন সুতার বিষয়টি দেখভাল করছিলেন। কিন্তু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া জয়ের পর এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।মুজিবের বিকল্প পরিকল্পনা১৯৭১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির বাড়িতে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং চার যুবনেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন। খন্দকার মোশতাক আহমদকে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। শেখ মুজিব তাঁদের একটি ঠিকানা মুখস্থ করান—সানি ভিলা, ২১ রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোড, ভবানীপুর, কলকাতা। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মুজিব কিছু বিকল্প পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।