চাঁদা না দেওয়ায় অস্ত্রধারীদের হামলা, ছড়াল ভিডিও; আধিপত্যের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত কাতলাপুর মিলনঘাট
সাভার, ঢাকা:
সাভারের কাতলাপুরের কর্ণপাড়া মিলনঘাট এলাকায় গুলি ছুড়ে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিলে, তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে, এবং এর একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে ট্রলারের ওপর অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
চাঁদার দাবিতে গুলি ও হামলা
মামলার এজাহারে কামরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, সিঙ্গাইরের ফুডনগর মোল্লাপাড়ার অন্তর খান, মোর্শেদ খান, মোশাররফ খান, হৃদয়, রনি খানসহ আরও ১০–১২ জন মিলে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অন্তর খান তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এরপর খোকন ও আরমান মাঝিকেও মারধর করা হয় এবং দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক পটভূমি ও সংঘাত
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাতলাপুর খেয়াঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করছেন কামরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হেদায়েত উল্লাহ। অপরদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে অন্তর খান ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এবং তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
কামরুলের ছেলে হেদায়েত বলেন, "মাসখানেক ধরে এই সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদা দাবি করে আসছিল। গতকাল অস্ত্রসহ হঠাৎ এসে অন্তর তিন রাউন্ড গুলি করেন ও ট্রলার নিয়ে চলে যান।"
পুলিশের বক্তব্য ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপট
সাভার মডেল থানার ওসি মো. জুয়েল মিঞা বলেন, "ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গুলির শব্দ স্থানীয় কেউ শোনেননি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আধিপত্য বিস্তারের ফল বলেই মনে হচ্ছে। মামলাটি রেকর্ড করে তদন্ত চলছে।"
এদিকে সাভার পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও মো. আবুবকর সরকার জানান, "মিলনঘাট এখনো কারও কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি। দরপত্র যাচাই–বাছাই চলছে।"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!