সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো উন্নত করতে ও তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশন সাংবাদিকদের প্রবেশপদের বেতন বিসিএস ক্যাডারদের নবম গ্রেডের সমান করার পাশাপাশি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করার পরামর্শ দিয়েছে।
আজ শনিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
সাংবাদিকদের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ও নতুন কাঠামোর প্রস্তাব
সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো বিসিএস কর্মকর্তাদের সমান করতে হবে। বর্তমান জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডের বেতন ২২,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়, যা অন্যান্য ভাতা যুক্ত হয়ে ৩৫,০০০ টাকার বেশি হয়। একইসঙ্গে ঢাকার সাংবাদিকদের জন্য ‘ঢাকা ভাতা’ যোগ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা
কমিশন আরও প্রস্তাব করেছে, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হতে হবে। একইসঙ্গে এক বছর শিক্ষানবিশ থাকার পরই সাংবাদিকরা পূর্ণ মর্যাদা পাবেন। সম্পাদক ও প্রকাশকদের জন্যও যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইন
সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিশন। এই আইনের খসড়াও জমা দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকরা আরও নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের গঠন ও সদস্যরা
২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর সরকার গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে এই সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে আছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম মালিক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
কমিশনপ্রধান কামাল আহমেদ বলেন, "আমরা আশা করি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ভবিষ্যৎ সরকার এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে।"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!