লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের পীর ফয়েজ উল্যা সড়কে ৩৯ দীর্ঘ বছরের প্রতিষ্ঠিত রিকশাজীবি সমিতির কার্যালয়ের কার্যক্রমে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রিকশাজীবিরা। (২০ সেপ্টেম্বর) রোজ বুধবার সকালে রায়পুরের পীর ফয়েজ উল্যা সড়কে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে রিকশাজীবি সমিতির ৪১১ জন সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
মানবন্ধন থেকে সমিতির সদস্যরা জানায়, বিগত ৩৯ বছর যাবত লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের নিকট হইতে ১৩২০ বর্গফুট জমিন লিজ নিয়ে পীর ফয়েজ উল্যা সড়কের উত্তর পাশে তাদের সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি তাদের এই কার্যালয়ে কার্যক্রমে বাধা প্রদান ও তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করার নিমিত্তে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল এবং ইতোমধ্যে সেখানে নতুন ভবন নির্মানের জন্য নির্মান সামগ্রীও নিয়ে আসে সেই প্রভাবশালী মহল।
যাহা সম্পূর্ণ বে-আইনী এবং প্রকাশ্যে আমাদের উপর নির্যাতন ও জুলুমের শামিল।রিকশা শ্রমিকরা আরও জানায়, আমরা খেটে খাওয়া দিনমজুর। আমরা কোন সিন্ডিকেট বুঝিনা। আমাদের দাবি একটাই, আমাদের দীর্ঘ ৩৯ বছরের কার্যালয়ে কোনপ্রকার কর্মকান্ডে বাধা না দিয়ে যেন রায়পুর পৌর শহরে আমাদের জন্য একটি নির্ধারিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়।তারা আরও জানায়, প্রভাবশালীদের হুমকির প্রতিবাদ ও কার্যালয় পুনরুদ্ধারসহ সকল প্রকার বাধা বন্ধ করনের দাবিতে প্রাথমিক পর্যায়ে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা সর্বমহলে বিষয়টি নিয়ে সম্মিলিতভাবে স্মারকলিপি প্রদান করবো।
বিষয়টি নিয়ে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না এবং বিধি মোতাবেক যারা নতুন ভবন নির্মানের জন্য সেখানে নির্মান সামগ্রী জড়ো করেছে তারা কেউ আদৌ পৌরসভা থেকে কোনপ্রকার অনুমতি নেয়নি। যাহা সম্পূর্ণ বে-আইনী।
অপরদিকে রায়পুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল বলেন, এখানে ইট-বালু আমি আনিয়েছি এবং কাজটি আমি করাচ্ছি। এটি আদৌ কাউকে ভাড়া দেওয়ার কথা হয়নি। এটা উপজেলা প্রশাসনের কাজ। এখানকার প্রাপ্ত ভাড়া দিয়ে আমাদের উপজেলায় গঠিত পাবলিক লাইব্রেরির সকল প্রকার খরচ চালানো হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!