হুমায়ুন কবির,
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলায় ৪ হাজার ১ শত ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছে কৃষকরা। অতিরিক্ত আলু বাজারে উঠার কারণে কাঙ্ক্ষিত আলুর মূল্য পাচ্ছেন না আলু চাষিরা।
বাধ্য হয়ে এক কেজি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে এক কাপ চায়ের দামে। প্রতি বিঘায় যে খরচ হয়েছে তার তিনগুণ লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে চরম হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা। অথচ দুই তিন সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হতো। এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকায়। গত বারের তুলনায় বেশি দামে আলুর বীজ কেনা, সার, কীটনাশক ও মজুরীর দাম বৃদ্ধির জন্য প্রতিবিঘা আলু চাষে গুনতে হয়েছে বেশি টাকা। তবুও তারা ভালো ফলন দেখে লাভের আশায় স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা,আসল তুলতে চরম লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলার বনগাঁও গ্রামের দুলাল হোসেন,সন্ধ্যারই গ্রামের মো.রুবেল ও হোসেনগাঁও গ্রামের আলু চাষী ফারমান আলী জানান "আমরা এবার অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। প্রতি কেজি আলু বাজারে এখন মাত্র ১০ টাকা থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, আসল নিয়ে টানাটানি। এবছর সংসারে প্রচুর ঘাটতিতে পড়তে হবে। আল্লাই ভালো জানে কি আছে নসিবে !

তারা এও বলেন, এভাবে বাজারে আলুর দাম চলতে থাকলে সার ও কীটনাশকের খরচও উঠবে না।"সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজারে
ঘুরে দেখা গেছে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায় আর পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহীদুল ইসলাম জানান, এবার সমগ্র উপজেলায় ৪ হাজার ১ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর আবাদ হয়েছে। "বর্তমান বাজারে আলুর দাম কিছুটা কম।

তবে আমরা আলু বাইরের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি। এ পর্যন্ত ৫০০ মেট্রিকটন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন বাইরে রপ্তানি হলে আলুর দাম বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!