ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৌর এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
- ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মুনসুর। তিনি বলেন, “জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।”
- বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
বুধবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর। সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান পলাশ।
অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ খালেকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ একই দিনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
- গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ
বেলা ১১টার দিকে বিরোধিতা করে একটি গ্রুপ বিক্ষোভ শুরু করে। তারা উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এক ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
- আগের সংঘর্ষের ইতিহাস
এর আগেও এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন এইবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
- বর্তমান পরিস্থিতি
পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
- পাঠকের মতামত দিন
আপনারা কি মনে করেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!