বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি যেন আকাশের চাঁদ হয়ে উঠেছে। ১৪ বছরেও ধরা দেয়নি।ঈদের পরে কমিটি আসবে বলা হলেও ঈদ চলে গিয়ে কুরবানী চলে আসলেও কোনোরকম সারাশব্দ যেন মিলছেনা।সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে দিনে দিনে হাস্যরসাত্মক হয়ে উঠছে ববি ছাত্রলীগের কমিটি বিষয়ক আলোচনা।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা হয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে।কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরুলেও এখনো সাংগঠনিক গতিশীলতা পায়নি ববি ছাত্রলীগ।তূলনামূলক অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজও কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক কাঠামো পেয়েছে,কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগের 'কেন্দ্রীয় কমিটি কতৃক ১১১তম ইউনিট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে অথচ কমিটির মুখদর্শন করেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি।বিশ্ববিদ্যালয়ে ডান বামসহ অনেকগুলো ছাত্র সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে এবং তাদের কমিটিও আছে।বারংবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে কমিটি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও ১৪বছরেও প্রতিকূলতা কাটিয়ে সফলতার মুখ দেখেনি। "এ যেন কেউ কথা রাখেনি"। প্রতিবারই গভীর হতাশায় পর্যবসিত হচ্ছে ববি ছাত্রলীগের ত্যাগী কর্মী রা। কমিটি না থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু দল,উপদল সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে তৈরী হয়েছে আন্ত:কোন্দলেরও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রলীগ কর্মী জানান বহুবছর শ্রম দিয়েছি প্রাণের সংগঠনে। আমরা সাংগঠনিক পরিচয় পাইনি। শতশত কর্মীদের ঘামে ভেজা ববি ছাত্রলীগের পতাকা। মুজিব আদর্শের চেতনার একটি অভেদ্য ঘাটি গড়ে তোলার জন্য ববি ছাত্রলীগের কমিটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!