সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর সদরের মাদানী মহল্লায় স্বামী বাড়ীর লোকজনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দিরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাম্মানা খানম নামের এক নারী।
গত শনিবার দিরাই মাদানী মহল্লায় এ ঘঠনা ঘটে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দিরাই মাদানী মহল্লার আব্দুর রহমানের পুত্র নাজিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন হেলাল উদ্দিন, নুর উদ্দিন সহ তামান্না খানমের স্বামী শরিফ উদ্দিন প্রবাসে থাকায় অভিযোগে উল্লেখিত সকল বিবাদী তামান্নার উপর অমানবিক নির্যাতন করে। অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, তামান্নার স্বামী শরিফ উদ্দিন প্রবাসে শরিফ উদ্দিনের এক নারীর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক থাকায় তার সাথে আমার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়৷ আমার স্বামীর ভাই এবং তাদের স্ত্রী স্বামীর বোনেরা আমাকে নানা ভাবে শারিরীক নির্যাতন ও ঘর হইতে তাড়াইয়া দেওয়ার জন্য আমার বাবা, মা তুলে গালিগালাজ ও আমাকে হত্যার হুমকি প্রতিনিয়ত দিয়ে আসছেন৷ আমার ভাই রুম্মান মিয়া আমার স্বামী শরিফ উদ্দিনের নিকট এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা পায়।
আমার স্বামীর সহিত যোগাযোগ করতে না পাড়ায় আমার ভাই তিন নম্বর বিবাদী হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে বিবাদীগণ উত্তেজিত হইয়া ঘটনার দিন ও সময়ে আমাকে ও আমার ভাইকে অশ্লীল গালিগালাজ শুরু করেন৷ এ নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে পূর্ব শত্রুতার সুত্রধরে দুই নম্বর বিবাদী জালাল উদ্দিনের হুকুমে এক নম্বর বিবাদী নাজিম উদ্দিন আমার চুলের মুটে ধরিয়া টানা হেছড়া করে আমার পরিহিত জামা কাপড় খুলিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়৷ জালাল উদ্দিনের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমাকে প্রাণে মারার উদ্দ্যেশে আমার মাথায় আঘাত করিলে বারিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আমার বাম কানে রক্তাক্ত যখম হই৷ চার নাম্বার বিবাদী নুর উদ্দিনের হাতে থাকা চুরি দিয়ে আমাকে প্রাণে মারার উদ্দ্যেশ আঘাত করলে আমি ডান হাত ধারা ফিরালে আমার বাম হাতের কনির নিচে মারাত্মক আঘাত পাই। পাচ নাম্বার বিবাদীনি সৈয়দুন নেচ্ছা আমার গলায় থাকা স্বনের চেইন চিনিয়ে নিয়ে যায়৷ আমার বিছানায় থাকা বিভিন্ন নোটের এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা জালাল উদ্দিন নিয়ে যায় ।
আমার স্বামীর ভাই নাজিম উদ্দিন আমার ভাইদের ও উপস্থিত সাক্ষী গনের সামনে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন আমি যদি তাদের ঘরে যাই আমাকে খুন করে ফেলবেন। তাদের আঘাত সইতে না পেড়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উপস্থিত সাক্ষীগণ আমাকে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতব্যেরত চিকিৎসক আমাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন৷ আমার অবস্থা খুবই নাজুক, আমি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছি। এব্যাপারে দিরাই থানা'র অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়েছি। ততন্দ সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানু ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!