সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের রিমান্ডের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।
হাস্যোজ্জ্বল পলক, কাঠগড়ায় ‘ঈদ মোবারক’
সাধারণত রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের চাপে বা বিমর্ষ দেখা গেলেও, আজ আদালতে পলকের আচরণ ছিল ব্যতিক্রমী। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবী ও উপস্থিত জনসাধারণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও রিমান্ড শুনানি
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পলক। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ৬২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে সংঘটিত ওবায়দুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে পলক সরাসরি জড়িত।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, ‘পলক ছিলেন শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। গত বছরের জুলাই-আগস্টে হাজারো ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।’
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মক্কেলকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁর জামিন আবেদন জানাচ্ছি।’ তবে আদালত রিমান্ডের পক্ষে রায় দেন।
অন্য আসামিরা ও আদালতের দৃশ্যপট
আজ একই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকেও আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের সকলকেই হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আদালতের কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় পলক তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে সবার উদ্দেশে উচ্চ স্বরে বলেন, ‘ঈদ মোবারক’। এরপর পুলিশের নির্দেশে তাঁকে আবার হাজতখানায় নেওয়া হয়।
সামনের করণীয়
সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো এখন বিচারিক পর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী শুনানির আগে তাঁদের রিমান্ডে রেখে তদন্ত চালানো হবে বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে আদালতে পলকের ফের হাজিরার সম্ভাবনা নেই। তবে রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলবে আরও কিছুদিন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!