ঈদ-উল ফিতর ও নববর্ষের টানা ছুটিতে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ ও পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের পাশাপাশি ১২ এপ্রিল থেকে এখানে বৈসাবী উৎসব শুরু হওয়ার ফলে পর্যটকদের আনাগোনা এবার অনেকাংশে বেড়েছে।
পর্যটন মোটেল হোটেলগুলোতে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। আলুটিলা গুহা, রিচাংঝর্ণা, দেবতা পুকুর, পানছড়ির শান্তিকুটির, হাতিরমাথা, হর্টিকালচার পার্কসহ সব পর্যটন সম্পদগুলোতে পর্যটকদের ভিড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।
হোটেল মালিক হাজী ছালেহ আহম্মদ জানান, তাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। পর্যটন মটেলের উত্তম কুমার মজুমদার ম্যানেজার জানান, তাদের মোটেলে বুকিং নেওয়া হচ্ছে না, এখন কোনো সিট ফাকা নেই।
পাহাড়ে চাকমা,মারমা ত্রিপুরাদের বৈসাবী উৎসব এখানে ১২ এপ্রিল ফুল বিজুর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে। এ সময়ে এখানকার ঐতিহ্যবাহী নানান সংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছে এখানকার জনপদ।
প্রতিবছর সমতলের লোকজন এ উৎসবে সামিল হতে পাহাড়ে এসে ভিড় করে, ফলে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এবারে ঈদ ও বৈসাবী একসাথে যোগ হওয়ায় পর্যটনদের আকর্ষণ এখন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি।
জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটগুলো এখন নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। এক কথায় খাগড়াছড়ি জেলা এখন পর্যটকে ঠাসা হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এবারেও বিগত দিনের চেয়েও বেশি পর্যটক হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!