ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে টমটম দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ভাঙা পা নিয়ে কাতরাচ্ছে কিশোর পারভেজ।
পঙ্গু জীবন নয় সুস্থভাবে বেচে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট আকুতি জানিয়ে চিকিৎসার খরচ সাহায্য প্রার্থনা করেছে।
বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের চানপাড়া গ্রামের মৃত আবুল বরকত ঠাকুরের পুত্র পারভেজ ঠাকুর (১৭) টমটম দূর্ঘটনায় ডান পায়ের উরু ভেঙে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে।
প্রাথমিক অপারেশনের পুরো অর্থ দিতে ব্যার্থ হওয়ার কারণে সিলেটের এম এফ টি ক্লিনিক থেকে একজন ব্যাবসায়ীর জিম্মায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন আরও তিনটি অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
আহত পারভেজের স্বজনরা জানান, দারিদ্র্যতার কারণে পড়ালেখা বাদ দিয়ে অল্প বয়স থেকেই একটি ডেকোরেটারসের দোকানের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন পারভেজ।
গত সোমবার (১ নভেম্বর) বড়বাজার- ৫/৬ নম্বর বাজার রোডের বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাষ্টারের বাড়ির সামনে একটি যাত্রীবাহি টমটম উল্টে যায়। ওই টমটমের যাত্রী ছিলেন পারভেজ।
দূর্ঘটনায় পারভেজ গুরুতর আহত হলে তাকে বানিয়াচং স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে সিলেট প্রেরন করা হয়।
পরবর্তীতে প্রাইভেট ক্লিনিক এম এফ টি হসপিটালে পারভেজের ডান পায়ের ভেঙে যাওয়া উরুতে অপারেশন করা হয়েছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন পুরো সুস্থ হতে হলে ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
প্রাথমিক অপারেশনের জন্য পারভেজের পরিবার ধারকর্জ করে কিছু টাকা নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসকরা ১ লক্ষ টাকার মত লাগবে বলে জানান।
পরবর্তীতে পুরো টাকা দিতে না পারায় হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বিভু ভট্টাচার্য নামের একজন ব্যাবসায়ীর জিম্মায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আরও তিনটি অপারেশনের জন্য এবং বকেয়া টাকা সহ ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
যা পারভেজের দরিদ্র পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না।
বর্তমানে কিশোর পারভেজ বিছানায় শুয়ে থেকে চিকিৎসা ও খাবারের অভাবে ধুকছে।
এ ব্যাপারে অসহায় অসুস্থ কিশোর পারভেজ সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাকে আল্লাহরওয়াস্তে সাহায্য ভিক্ষা করুন।
আমি পঙ্গু হয়ে সমাজের বোঝা হতে চাইনা।
আমি সুস্থ হয়ে পরিশ্রম করে বেচে থাকতে চাই।
আপনারা আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন।
পারভেজ ঠাকুর কে সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর -01741-088743
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!