বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় গত ডিসেম্বরে  শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিটের ফি কমানো ও এ্যালোটমেন্ট প্রসিডিউর নির্ধারন করার জন্য উপাচার্য ড.শুচিতা শরমিন  ছাত্র এবং ছাত্রীদের চার হলের প্রভোস্টদের একটি কমিটি করে দেন। যার আহ্বায়ক শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আব্দুল আলীম বছির।

আবেদনকারী শিক্ষার্থী ও মার্কেটিং ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী তন্ময় ঘোষ বলেন, " আমি গতবছর মার্চ মাসে শেরে বাংলা হল ও নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু হলে উঠার জন্য আবেদনপত্র জমা দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন হলেরই ভাইভা নেওয়া হয় নাই এবং কবে ভাইভা হবে তা আমরা এখনো জানি না।

আরেক আবেদনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,  হলে ওঠার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের সাথে বিভিন্ন সময় কথা বললে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, হল কর্তৃপক্ষ ভিসি বরাবর তালিকা জমা দিয়েছেন। এখন তিনি (ভিসি) স্বাক্ষর করলে হল কর্তৃপক্ষ সামনের দিকে আগাবে। আর শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট পরিবর্তন হলেও ভাইভা নেওয়ার ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয় নাই।

তিনি আরো বলেন, “আমি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর এখন যদি আমি হলে না উঠে পারি তাইলে আর কবে হলে উঠবো! আরেকটা বিষয় হচ্ছে হলে উঠার সময় প্রায় ৪-৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। হলে যদি খুব দ্রুত না উঠতে পারি তাইলে আমার  এই টাকার একপ্রকার উপযুক্ত ব্যবহার হবে না । এখন দুই হলের পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতার কারণে আমার মত ছাত্ররা হল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”

শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আব্দুল আলীম বছির জানান,"আমি দায়িত্ব গ্রহন করেছি অক্টোবরের ৬ তারিখ। দায়িত্ব নেবার পরে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম।তখন আমি জানতে পারি আগের একটি বিজ্ঞপ্তি নেয়া ছিলো যেটার ভাইবা,সিট বরাদ্দ হয়নি।পরবর্তীতে আমি বলেছি আগের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

তিনি দ্রুত আসন বরাদ্দের আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন,আসলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে বিষয়টি।আগের সিট বরাদ্দের নিয়মের কিছু পরিবর্তন এবং ফি কমিয়ে আনার প্রসেসে বিভিন্ন দপ্তরে সময় লাগছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিডিউর অনুযায়ী বিষয়টি  পাশ হবে।আমরা কিছু নীতিমালা তৈরী করে রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছি। রেজিস্ট্রার অফিসের পরে এটি ফিন্যান্স কমিটিতে যাবে,তারপর সিন্ডিকেটে যাবে।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মেহেদী হাসান জানান," আমরা নভেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম।আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো ডিসেম্বরে সিট বন্টনের ভাইবা নেব।এরমধ্যে শিক্ষার্থীরা সিটের ফি পুননির্ধারন এবং সিট বন্টন যেন সুষ্ঠু ভাবে করা হয় তারজন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছিলো। সেই বিষয়ে আমরা একটা নীতিমালা তৈরী করে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছি,আমরা নির্দেশনার জন্য মাননীয় উপাচার্যের অপেক্ষায় আছি। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে আসলে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম করতে পারবো।"

উল্লেখ্য যে,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দুটি হলের শিক্ষার্থী ধারন ক্ষমতা ১২২০ জন।

গত ১৪ জানুয়ারী শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয় -২৪ হল নামকরন করে ব্যানার টানিয়েছেন।