ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ইউনিট বাঁধনের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশিত খাবার খেয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান ও অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান 'বনফুল'-এর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাবেদ হোসেনের কাছে সংগঠনের বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার এবং প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর শহীদুল্লাহ হলে অনুষ্ঠিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশনকৃত খাবারের কারণে প্রায় পঞ্চাশোর্ধ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায়, শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বনফুলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং চার ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়, যার মধ্যে ছিল লাড্ডু, কাপ কেক, সিংগারা ও পাটিসাপটা পিঠা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, লাড্ডু ও কেক সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে মেয়াদ ও গুণগত মান যাচাই করে আনা হয়েছে, তাই এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বনফুলের পাটিসাপটা পিঠার বিষয়ে, যেটি খেয়ে তাদের পেটে সমস্যা দেখা দেয়। তবে 'বনফুল সুইটস এন্ড কোং' এর ম্যানেজার আল আমিন এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, তাদের খাবারে কোনো সমস্যা নেই।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!