চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে চীন প্রায় ১২.৬৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্য রফতানি করেছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ২.৮ শতাংশ বেশি। এতে দেখা যাচ্ছে যে, চীনের মোট রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশই যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্য।
চীনের এই প্রযুক্তিপ্রবণতা বিশ্ববাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্যের চাহিদা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক। তাই এই পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি চীনের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চীন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনশীলতার মাধ্যমে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। ডিইইআরএমএ এরকম একটি চীনা কোম্পানি যা আপস্ট্রিম বিদেশি কোম্পানিগুলোকে অধিগ্রহণ করে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে।
চীনের ক্রস-বর্ডার ই-কমার্সও বিশ্ববাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চীনের ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশটি নতুন দেশীয় পণ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববাজারে নিয়ে আসছে।
বর্তমানে চীন একাধিক খাতে নিজেদের বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। রেল ট্রানজিট সরঞ্জাম ও জাহাজের মতো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজগুলো প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে, বায়োমেডিসিন ও ক্লিন এনার্জি খাতে আধিপত্য ধরে রেখেছে দেশটির প্রাইভেট খাত। চিকিৎসা যন্ত্র, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ও ইলেকট্রনিক উপাদান রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চীনা বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
চীনের প্রযুক্তিপ্রবণতা বিশ্ববাণিজ্যের ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের এই প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনশীলতা বিশ্ব অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!