গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে গত ৭ নভেম্বর সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু ওই ঘোষণাকে অপর্যাপ্ত মনে করে গাজীপুর ও সাভার শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে শ্রমিকরা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে ১২৩টি কারখানায় ভাঙচুর চালান শ্রমিকরা। এছাড়াও গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলায় শনিবার পর্যন্ত ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা কারখানার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাকির হোসেন বলেন, “সাধারণ শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা শিল্প কারখানার ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত, যেসব শ্রমিক বহিরাগত লোক নিয়ে আন্দোলনে মদদ দিছে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে। মালিক কর্তৃপক্ষ যাতে কারখানা চালু রাখেন সেজন্য আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি, দ্রুতই তারা উৎপাদনে যাবে।”
এ সময় গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলমসহ শিল্প পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারখানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর ও সাভার শিল্পাঞ্চলে পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ চলছে। তারা ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবি করছেন। কিন্তু সরকার সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করেছে। এই মজুরি শ্রমিকরা মেনে নিতে রাজি নন। ফলে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন তারা।
বিক্ষোভের মধ্যে শ্রমিকরা ১২৩টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষেও কয়েকজন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। শ্রমিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন এবং ভাঙচুর না চালান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!