আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ পোশাক কারখানা স্বয়ংক্রিয় মেশিন কেনার পরিকল্পনা করছে। এ সময়ের মধ্যে অটোমেশনের হার ১৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিটি মেশিনে ১ থেকে ৬ জন শ্রমিক যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বর্তমানে কর্মরত দুই হাজার ২৫০ শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৫০০ জন শ্রমিক এই অটোমেশনে সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য উঠে আসে। 'ভবিষ্যতমুখী পোশাক শিল্প: টেকসই বৃদ্ধির জন্য অটোমেশন ও শ্রমিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ' শীর্ষক উপস্থাপনায় এই প্রজেকশন তুলে ধরেন লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন।
আলোচনায় জানানো হয়, অটোমেশনের ফলে উৎপাদনশীলতা ২২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু বিপুল সংখ্যক শ্রমিক অটোমেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে বেকারত্বের হারও বাড়তে পারে।
এই সংলাপে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন ও শ্রমিক সুরক্ষায় করণীয় বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বিশেষত, শ্রমিকদের আপস্কেলিং এবং রিস্কেলিং, কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কারখানায় কার্বন নির্গমন কমানোর মতো বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, অটোমেশনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে, যদিও শ্রমিক সুরক্ষায় বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
এই সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ূব নবী খান, প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারসের কান্ট্রি ম্যানেজার শামস জামানসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!