পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন: "তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সুরা আল আহযাব, আয়াত ২১)
এই আয়াতটি স্পষ্ট করে যে রাসুল (সাঃ)-এর জীবন আমাদের জন্য অনুসরণ করার জন্য একটি উত্তম আদর্শ। এর অর্থ হলো আমাদের রাসুল (সাঃ)-এর বাণী ও কর্ম উভয়ই অনুসরণ করা উচিত।
আল্লাহ আরও বলেন: "হে নবী, অবশ্যই আমরা আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে।" (সুরা আল আহযাব, আয়াত ৪৫)
আল্লাহ রাসুল (সাঃ)-কে এই দুনিয়ায় তাঁর বান্দাদের সতর্ক করার জন্য পাঠিয়েছেন। কিসের সতর্কতা? আমরা যেন দুনিয়ার বুকে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করি, তাঁর দেওয়া বিধান কোরআনের আদেশ-নিষেধ মেনে চলি। তাহলেই আমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, নতুবা হিংসা, হানাহানি, হত্যা, রাহাজানি অর্থাৎ সব ধরনের খারাপ কাজের জন্য রয়েছে জাহান্নাম এবং কঠিন শাস্তি।
নবী করিম (সাঃ) যেদিন মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন সেদিন কুরাইশ বংশে আনন্দ বয়ে গিয়েছিল। তাঁর দাদা আবু তালেব খুশিতে মক্কার মানুষদের দাওয়াত করে ভোজ দিয়েছিলেন এবং চাচা আবু লাহাব তার দাসীকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জন্মের পর থেকে আল্লাহর রসুলের জীবন ছিল কষ্ট ও সংগ্রামে ভরা। অতি অল্প বয়সে তিনি ছিলেন পিতৃ-মাতৃহীন। তাঁর পুরো জীবনটা ছিল পরীক্ষার।
৬৩ বছরের জীবনে তাঁকে চরম চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। ইসলাম ধর্ম প্রচার ও আল্লাহর একাত্মবাদের কথা বলতে গিয়ে মক্কার কাফেরদের কাছ থেকে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশে নিজ জন্মস্থান মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করতে হয়েছে। তারপর একের পর এক ধর্ম যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বদরের যুদ্ধ, উহুদের যুদ্ধ যা উল্লেখযোগ্য।
রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে সাহাবারা হজরত আয়েশা (রাঃ) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন "জেনে রাখো, পুরো কোরআনই হলো রসুল (সাঃ)-এর চরিত্র"। (মুসনাদে আহমদ, ২৫৮১৩)
লগইন
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!