ইসলামে শাবান মাস একটি বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। এটি হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস এবং নফল রোজার মাস হিসেবে পরিচিত। মহানবী (সাঃ) শাবান মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও নফল রোজা আদায় করতেন।
আয়েশা (রাঃ) বলেন: "মহানবী (সাঃ) শাবান মাসের চেয়ে বেশি নফল রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতেন না। নিঃসন্দেহে তিনি পূর্ণ শাবান মাস রোজা রাখতেন।" (বুখারি, হাদিস : ৪৩, ১১৩২; মুসলিম, হাদিস : ৭৪১)
অন্য বর্ণনায় আছে: "আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে এত বেশি (নফল) রোজা পালন করতে দেখিনি। কিছু অংশ ছাড়া এ মাসের পুরোটা, বরং প্রায় পুরো মাস তিনি (নফল) রোজা রাখতেন।" (তিরমিজি, হাদিস : ৭৩৭)
এই মাসে মানুষের বাৎসরিক আমল মহান আল্লাহর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।
এটি রমজান মাসের রোজার প্রস্তুতি। এই মাসে কিছু কিছু রোজা রেখে অভ্যস্ত হয়ে গেলে রমজানের পুরো মাস রোজা রাখা সহজ হয়।
"একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকে শাবান মাসে যত সিয়াম পালন করতে দেখি তত অন্য কোনো মাসে তো রাখতে দেখি না (এর রহস্য কী)?
জবাবে তিনি বলেন, এটা তো সেই মাস, যে মাস সম্পর্কে মানুষ উদাসীন, যা হলো রজব ও রমজানের মধ্যে। আর এটা তো সেই মাস, যাতে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের কাছে আমল পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে সিয়াম রাখা অবস্থায় আমার আমল (আল্লাহর কাছে) উপস্থাপন করা হোক।" (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২১৭৫৩, নাসাঈ, হাদিস : ২৩৫৭)
রমজান মাসের রোজার জন্য প্রস্তুতি,গুনাহ মাফের মাধ্যম,আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের মাধ্যম, আমলনামা উত্তম অবস্থায় উপস্থাপন
রমজানের পূর্ণ মাস রোজা রাখার আগে শাবান মাসে কিছু কিছু রোজা রেখে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।
শাবান মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা উত্তম।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!