ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) দেশে প্রথমবারের মতো পাঁচজনের শরীরে ব্যাট রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে। গবেষকরা জানান, এই ভাইরাসটি শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রাণঘাতীও হতে পারে।
রিওভাইরাসের সাধারণত ৯টি ধরণ রয়েছে, যার মধ্যে ৪টি মানবদেহে পাওয়া যায়। বাকি ধরণগুলো এখনো মানবদেহে শনাক্ত হয়নি। ভাইরাসজনিত রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বেশ কিছু দোয়া শিখিয়ে গেছেন।
রোগমুক্তির জন্য সহিহ হাদিসে উল্লেখিত দোয়া:
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
অল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুঝহিবাল বাসি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা শিফায়ান লা ইয়ুগাদিরু সাকামার। (বুখারি; মুসলিম)
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি মানুষের রব, রোগ দূরকারী। আপনি আরোগ্য দিন, আপনি ছাড়া কেউ আরোগ্য দানকারী নন। এমন আরোগ্য দিন, যা কোনো রোগ অবশিষ্ট রাখে না।
এছাড়া, কোরআনে বর্ণিত আরেকটি দোয়া:
اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
আন্নি মাছ্সা নিয়া দুর্রু ওয়া আন্তা আরহামুর রহিমীনে। (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
অর্থ: হে আমার রব, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
বিশ্বের ইতিহাসে ধৈর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হজরত আইয়ুব (আ.) দীর্ঘদিন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ধৈর্য ধরে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সুস্থতা লাভ করেন।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়া ৩ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে বিষাক্ত প্রাণী ও ক্ষতিকর প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।' (তিরমিজি: ৩৬০৪)
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
অাউজু বিকালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শর্রি মা খালাক।
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।
সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি এই দোয়াগুলো পাঠ ও আমল করলে মহান আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!