জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে একটি কঠিন বাস্তবতা হলো দুনিয়া ও দুনিয়ার জীবন উভয়টাই নশ্বর। জন্ম হলেই মৃত্যু আছে। যেখানে লয় সেখানে ক্ষয়। কোনো জিনিসের সূচনা যেন তার সমাপ্তির প্রথম ধাপ।
আমরা চাই বা না চাই একদিন আমাদের এ জগৎ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় আমরা কিছুদিনের সেই পথিক যে ক্ষণে ক্ষণে তার আসল ঠিকানা তথা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আর এ জন্য উচিত নশ্বর দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ও সময়কে কাজে লাগিয়ে চিরস্থায়ী জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করা।
আখিরাতের প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু উপায়:
ঈমান ও আমল: আখিরাতের প্রস্তুতির ভিত্তি হলো সঠিক ঈমান ও আমল। আল্লাহ তাআলার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা এবং ইসলামের বিধান মেনে চলা।
নামায: নামায হলো ইসলামের স্তম্ভ। আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিয়মিত ও যথাযথভাবে নামায আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুরআন তেলাওয়াত: কুরআন হলো আল্লাহর বাণী। কুরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
জাকাত: জাকাত হলো ধনীদের ওপর আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে আমরা দরিদ্রদের সাহায্য করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য সওয়াব অর্জন করতে পারি।
সিয়াম: রমজান মাসে সিয়াম পালন করা আল্লাহর ওপর ফরজ। সিয়ামের মাধ্যমে আমরা আত্মসংযম অর্জন করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
হজ্জ: হজ্জ হলো সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর আল্লাহর ওপর ফরজ। হজ্জ পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
দান-সদকা: দান-সদকা করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য সওয়াব অর্জন করতে পারি।
সৎকর্ম: সৎকর্মের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
মৃত্যুর স্মরণ: মৃত্যুর স্মরণ আমাদেরকে দুনিয়ার প্রতি মোহমুক্ত থাকতে সাহায্য করে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনুপ্রাণিত করে।
আখিরাতের প্রস্তুতি নেওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। আজকের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্য আমরা যেন চিরস্থায়ী জীবনের প্রস্তুতি ভুলে না যাই।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!