২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। মতিঝিল থেকে উত্তরা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেলের দুই দিকের চলাচলই বন্ধ থাকে প্রায় ১৫ মিনিটের মতো। কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল, তা নিয়ে দুই রকম তথ্য দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।
ডিএমটিসিএল বলছে, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর পাশের এক ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয় স্যাটেলাইট টিভির ক্যাবল। এ কারণে প্রায় ১৫ মিনিট চলাচল বন্ধ ছিল মেট্রোরেল। কিন্তু পুলিশের দাবি, লাইনের ওপর ক্যাবল ছোড়ার জন্য নয়, মূলত যান্ত্রিক সমস্যার কারণেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।
ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর কেউ ক্যাবল ছুড়ে মারে। এ কারণে প্রায় ১৫ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। তার ছুড়ে মারা ব্যক্তিকে পুলিশ খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় হয়ে যায়। পরে নিচ থেকেই প্ল্যাটফর্মে ওঠার জন্য নিষেধ করা হয়। কেননা, প্ল্যাটফর্মেই ট্রেনের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বেশি যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন।
এদিকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিটের পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর যে ক্যাবল ছোড়ার কথা বলা হচ্ছে এই সংবাদটি সঠিক নয়। এমআরটি অফিস থেকে আমরা জানতে পেরেছি, মূলত যান্ত্রিক সমস্যার কারণেই মেট্রোরেল চলাচল কিছু সময়ের জন্য ধীরগতি হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে আমরা অবগত নই।
পুলিশের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, পুলিশকে জানানোর বিষয় আমার জানা নেই। তবে মেট্রো পুলিশ আছে, তারা তো বিষয়টা দেখেছেন। আর বিষয়টা ছোট তার বা কোনও কারণে বিঘ্ন ঘটেছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জেনে ব্যবস্থা নেবো। তবে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে ১৫-১৬ মিনিটের মতো ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে আবারও চালু করেছি।
মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের কারণ নিয়ে ডিএমটিসিএল ও পুলিশের ভিন্ন দাবিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ডিএমটিসিএল বলছে, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর ক্যাবল ছোড়ার কারণে চলাচল বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ বলছে, যান্ত্রিক সমস্যার কারণে চলাচল বন্ধ হয়েছিল।
দুই পক্ষের দাবির মধ্যে কোনটি সঠিক তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্তের প্রয়োজন। তদন্তের পর যদি দেখা যায় যে, ক্যাবল ছোড়ার কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়েছিল, তাহলে পুলিশের দাবি সঠিক হবে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, যান্ত্রিক সমস্যার কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়েছিল, তাহলে ডিএমটিসিএল-এর দাবি সঠিক হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!