লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের অর্ধশতবর্ষী একটি কড়ইগাছ কাটা হচ্ছে। রায়পুর পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় বাড়ি ও দোকানের শোভাবর্ধণের জন্য শামছুল আলম ভূঁইয়া শ্রমিকদের দিয়ে গাছটি কাটছেন। এনিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
খবর পেয়ে দুপুরে জেলা পরিষদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তারা গাছের কাটাঅংশগুলো জব্দ করার উদ্যাগ নিয়েছেন।
এদিকে সূত্র জানিয়েছেন, রায়পুর-হায়দারগঞ্জ সড়কের পাশে অর্ধশতবর্ষী কয়েকটি কড়ইগাছ রয়েছে। নতুন বাজার এলাকায় রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী শামছুল আলমের দোকান ও বাসার রাস্তা লাগোয় একটি গাছ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে শামছুল গাছটির ডাল ছাটাই করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সম্প্রতি আবেদন করেন। বিষয়টা উপজেলা বন ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাকে দেখার জন্য বলেন ইউএনও। এতে তড়িঘড়ি করে শামছুল শনিবার মধ্যরাত থেকে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে শ্রমিকদের দিয়ে গাছটি কাটান। ইতোমধ্যে গাছটির ৯০ ভাগ কাটা শেষ হয়েছে। শুধু নিচের গোড়ার টুকরো কাটা বাকি রয়েছে।
দেনায়েতপুর এলাকার আবুল হাশেম পাটওয়ারী ও আবদুল মতিন জানায়, জেলা পরিষদের অনুমতি না নিয়ে রাতারাতি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে গাছটি কাটা অন্যায়। দূর থেকে নিজের বাড়ি সুন্দর দেখানোর জন্য এটি করা হচ্ছে। গাছটির বাজার মূল্য ৩-৪ লাখ টাকা হবে।
শামছুল আলম ভূঁইয়া দাবি করেন, ইউএনওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছটি কাটা হয়েছে। আপাতত কাটা গাছ আমার বাসার ভিতরে রেখেছি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করায় কয়েকটি ডালপালা কাটার অনুমতি দিয়েছি। ওই ঢালপালাগুলো উপজেলায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। গাছ কাটার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার খবর পেয়েছি। আমরা লোক পাঠিয়েছি, কাঁটাগাছের অংশগুলো আমাদের জিম্মায় নিয়ে আনা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!