মানুষ কখনো কারো শতভাগ প্রিয়জন হতে পারে না। তবে প্রয়োজন হতে পারে।
প্রয়োজন ছাড়াও যে মানুষটি প্রিয়জন থাকে আমি তারে সমীহ করি।
হোক অল্প কিংবা বিস্তর। সুখে অসুখে দূরের হোক কাছের হোক পাশে থাকার মানুষের বড় অভাব। বোঝার মানুষ বা বুঝমান মানুষের ঘাটতি অনেক। সেটা যে কোনো পর্যায়েরই হোক। সম্পর্ক হলেও স্থায়িত্ব একটা বড় বিষয়। কে কিভাবে কার সাথে তাদের মধ্যকার উপস্থিতি প্রানবন্ত রাখেন তারাই জানেন। এরজন্য কোনো মন্ত্র নেই। যন্ত্রও কাজ করে না।
তবে মানুষের ভেতর থেকে ভেতরে কিছু বিষয় সংক্রমিত হয়, যা তাদের মধ্যে ভাবের আদান- প্রদানের ক্ষেত্রে অন্তমিল থাকে বলেই হয়তো সম্ভব হয়।একজনের একটু দুঃসংবাদ শুনলে অন্যজনের মন কাঁদে। বৃষ্টি নামলে এক ছাতায় একজন মানুষ যেমন চলতে পারে । আবার দুজনও শেয়ার করতে পারে। বিষয়টা নির্ভর করে ওই মানুষগুলোর মানসিকতার ওপর।
এই যে চারপাশে অনেক মানুষ লতাপাতায় জড়িয়ে আছে, এর পেছনে কোনো না কোনো ছায়াশক্তি কাজ করে। প্রেম ভালোবাসা রাগ অনুরাগ বিরহ ব্যথা সুখ দুঃখ- যা কিছু নিয়ে মানুষ বাঁচে তার মধ্যে একটি বিষয়ে সম্ভবত বেশি নম্বর পায়। তা হচ্ছে টান। অনুভব। অনুভূতিহীন মানুষ আছে কী নেই তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই বিষয়টিই মানুষে মানুষে বন্ধন গুছিয়ে রাখে। হোক সেটা রক্তের। হোক কোনো ফরমেটের। বা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
চেয়ারম্যান
খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!