বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্য অপরিহার্য।” বুধবার (২০ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
- ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসনাতের বার্তা
তার স্ট্যাটাসে তিনি আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনামলের নৃশংসতা ও নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দল ও সাধারণ জনগণ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি। গত দেড় দশকের আওয়ামী শাসনামলে বিএনপি ও জামায়াত তাদের বহু নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটাধিকার হরণের কারণে আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল নিপীড়িত দলকে একত্রিত করেছে। আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের পর বাংলাদেশে তাদের কোনো স্থান নেই। দলটির কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের অপশাসনের পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি এখন জনগণের অন্তরে প্রোথিত।”
- ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোরালো আহ্বান
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা ৭১ ও ৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত কোনো শক্তির আধিপত্য কায়েম করতে দেওয়া হবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন বা বিভেদ থাকা উচিত নয়। গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে যে বিভেদের রাজনীতি জনগণের কল্যাণের জন্য কখনোই সুফল বয়ে আনবে না। আমরা বিভাজনের পরিবর্তে ঐক্য চাই। দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। এই দুর্দশা দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
- শেষে তার প্রত্যাশা
হাসনাত তার বক্তব্য শেষ করেন এই আহ্বানের মাধ্যমে, “অপশাসন দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হব। সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী দল একত্রিত হয়ে কাজ করলে একটি শান্তিপূর্ণ, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।”
- পাঠকের মতামত দিন
আপনার কাছে এই বার্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়? ঐক্যের এই আহ্বান কি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!