চাঁদপুর থেকে মো রাব্বি ঢালী
বছরের শীতলতম মাস জানুয়ারির প্রথমার্ধ প্রায় শেষ। ঋতুতে আজ মাঘের আগমন ঘটলেও তাপমাত্রার পারদ বেশ ওপরে। এখনো সারাদেশে তীব্র শীতের দেখা মেলেনি।
চলতি মৌসুমে শীত, তার প্রকৃত চরিত্র নিয়ে এলেও পৌষ মাসের শেষ দশকে এসে শীতের চরিত্র দেখা যায়নি।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবারের মৌসুমে শুরুর দিকে শীতের কামড় অনুভূত হলেও তা শীতের স্বাভাবিক চরিত্র নয়। কুয়াশা কমে যাওয়া ও দিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ দেশের অধিকাংশ জায়গায় শীতের অনুভূতি খুবই কম। যদিও দেশের উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও এ বছর এখনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসেনি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমেছে সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রিতে।সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে শৈত্যপ্রবাহ ছিল। গত কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত সোমবার রেকর্ড করা হয়েছিল ফেনীতে, এদিন ঢাকায়ও ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতের দিন অনুযায়ী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটা বেশিই বলা যায়। গত কয়েকদিনে রাতের তাপমাত্রাও ১০ থেকে ১৭ ডিগ্রির ঘরে ছিল। এছাড়া চাঁদপুরে এবং ভিবিন্ন জেলা ঘন কুয়াশার অনুপস্থিতি কম থাকার কারণে এই অঞ্চলে শীতের অনুভূতি খুবই কম।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, এবার শীত আছে, তবে তীব্রতা নেই। দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি কমছে না। আবহাওয়া একটি নির্দিষ্ট সার্কেল মেনটেইন করে। দু-তিন বছর পর হঠাৎ করে এক মৌসুমে শীত কম পড়ে। গত মৌসুমে তাপমাত্রার পারদ কিন্তু খুব বেশি নিচে নামেনি, তবে ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি ছিল।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!