হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় পড়েছে। এতে দেখা দিয়েছে জনজীবনে দুর্ভোগ। আজান চলাকালীন, ইফতার ও সেহরির সময় হটাৎ বিদুৎ চলে যায়।
১ থেকে ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ দিয়ে করা হয় লোডশেডিং। গণ গণ বিদ্যুৎ আসা যাওয়ায় অনেকের ফ্রিজসহ মূল্যবান ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়েছে। কলকারখানা সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক ৭২ হাজার।
পল্লী বিদ্যুতের ভাষ্য প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকরাইল ছেও ছিল দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিহীন। ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের একজন ফেইসবুকে লিখেন। বিদ্যুৎ এর আসা ছেড়ে দিয়েছি। পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে গণ বসতি কারণে তীব্র গরম অনুভূতি হয়। ২৪ ঘন্টায় কতবার বিদ্যুৎ
আসে এবং যায় খোদ পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও জানেন না বলে মন্তব্য করেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বীর মুক্তিযোদ্ধা নমীর আলী বলেন, বিদ্যুৎ যা শুরু করে, ডা অসহনীয়। আল আমিন খান নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, বিদ্যুৎ এর উপর টাডা পড়ুক। আর একজন লিখেছেন, হিন্দু ভাইরা আমি রোজাদার তাই গালি দিতে পারছি না। আপনারা গালি দেন। আমি ইফতার করে গালি দিবো। ফেইসবুক খুললে শুধু বিদ্যুৎ বিভাগকে তুলোধুনো করছেন ভূক্তভোগীরা। যে সব অসভ্য ভাষা লেখা হয়েছে তা শালীনতা বজায় রাখার জন্য লেখা সম্ভব নয়। গড়ে ২৪ ঘন্টায় একজন গ্রাহক বিদ্যুত পান মাত্র এক ঘন্টা বলে জানান আজ সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল কারী তরুনরা। এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় বানিয়াচং বাসী। বানিয়াচং নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজ আন্দোলনের প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে নিশিত করেছে একটি সুত্র। তাই এই অবস্থায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন জনসাধারন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!