সরকারি সব গ্রেডের চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা ৩টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে সমাবেশ স্থল। তাদের স্লোগান ছিল- 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায় চাকরিতে বৈষম্য নয়', ‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা কোটা বহাল রাখার ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহুত আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে মিছিল করে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্পটে এগুতে চাইলে বরগুনা পৌরসভার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। সেখানে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ১৫ মিনিটের জন্য তার অনুসারীদের শান্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানালে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে অবস্থান নেন। বিকেল ৪টা ৫০মিনিটের সময় কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করে চলে যাওয়ার পর যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন নেতা বক্তব্য রাখেন।
আজ বুধবার একই স্থানে মুক্তিযোদ্ধা বহাল রাখার দাবিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রশিদ সভাপতিত্ব করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা সুখরঞ্জন শীল, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!