কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও শিক্ষক সমিতির পদে আসীন হয়েই উপাচার্যের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তারা।
১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন তারা। ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও ‘ডাস্টবিন’ বলেও সম্বোধন করেন।
২০১৭ সালে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে সিন্ডিকেট সভায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় এবং তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়।
২০১৭ সালে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম এনে ইউজিসি বরাবর চিঠি দেয় তৎকালীন শিক্ষক সমিতি।১৪ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় উপাচার্যের দপ্তরে তালা দেন তারা।
মেহেদী হাসান একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ও একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করার অভিযোগ।
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এক বছরে নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স শেষ না করতে পারায় বাতিল করা হয় মেহেদী হাসানের ফেলোশীপ। দীর্ঘদিন ধরে ছুটি ভোগ করার অভিযোগ।
উপরোক্ত ঘটনাগুলো থেকে স্পষ্ট যে, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও মেহেদী হাসান কুবির পরিবেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছেন। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে তারা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!