ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
এভারেস্ট অভিযানে গেছেন বানিয়াচঙ্গের সন্তান সালমা সুলতানা চৈতী। গত রবিবার (৮অক্টোবর) তিনি নেপালের বেস ক্যাম্প থেকে এ দুঃসাহসিক অভিযান শুরু করেন।
চৈতীর বাড়ী বানিয়াচং উপজেলা সদরের দেওয়ান দিঘির পূর্বপাড় গ্রামে। তিনি বানিয়াচঙ্গের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক, অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব ডক্টর শেখ ফজলে এলাহী (বাচ্চু) এবং হবিগঞ্জের নামকরা চিকিৎসক ডাক্তার মোতাহারা-এর কন্যা। চৈতী পেশায় একজন ব্যাংকার।
সোমবার (৯অক্টোবর) রাতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতাধীন থাকা পর্যন্ত পর্বতারোহী চৈতী তাঁর চাচা হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ফরহাদ এলাহী (সেতু) কে এভারেস্টের ১১ হাজার ২শত ৮৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করার কথা জানান।
এদিকে বানিয়াচঙ্গের সন্তান চৈতীর এভারেস্ট অভিযানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে বানিয়াচংবাসী গর্ববোধ করছেন। তাঁর পিতা ও চাচার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর জন্য শুভকামনা করছেন।
তাদের প্রত্যাশা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্ট জয় করে চৈতী সারাবিশ্বে বানিয়াচংসহ বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২০১০ সালে বানিয়াচং উপজেলার তোপখানা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক খান ওরফে একে খানের পুত্র বাসদ নেতা কমরেড ফখরুদ্দিন খান জাবেদ এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে সাড়ে ২২ হাজার ফুট উচ্চতায় পর্যন্ত আরোহন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এরবেশি উপরে উঠতে পারেনি তিনি। উল্লেখ্য, এভারেস্ট পর্বতের উচ্চতা ২৯ হাজার ২৯ ফুট।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!