কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুলছুম আক্তার স্বপ্না শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে এবং ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর আলাদা আলাদা পদত্যাগপত্র জমা দেন পদত্যাগকারী শিক্ষকরা।
পদত্যাগ পত্রে সহকারী অধ্যাপক কুলছুম আক্তার স্বপ্না বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল প্রভোস্টের স্বেচ্ছাচারিতা, অসহিষ্ণু আচরণ এবং অশিক্ষক সুলভ আচরণের প্রতিবাদে আমি কুলছুম আক্তার স্বপ্না হাউজ টিউটর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি।
সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করা প্রভাষক মো. কামরুল হাসান তার পদত্যাগ পত্রে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ইন্ধনে অযাচিতভাবে কিছু সংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী উপাচার্য দপ্তরে, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের উপস্থিতিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সাধারণ সদস্যদের উপর হামলা করে। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও হামালাকারীদের নিবৃত করা যাচ্ছিলো না, উপরন্তু দফায় দফায় হামলাকারীরা সাধারণ শিক্ষকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল প্রদান ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এই হামলার ঘটনাটিকে প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। উল্লেখিত পরিস্থিতিতে, প্রক্টরিয়াল বডির অব্যবস্থাপনা এবং ব্যর্থতার কারণে প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করতে আমি বিব্রতবোধ করছি।'
উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারী সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার। এ ছাড়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ আট কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভুঁইয়া।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!