২৫ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার মৃণাঙ্ক সিংকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। হরিয়ানার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ঋষভ পন্থের সঙ্গে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের অভিযোগ, ২০২১ সালে ঋষভ পন্থকে মৃণাঙ্ক বলেছিলেন যে তিনি দামি ঘড়ি এবং গয়না কেনাবেচা করেন। ঋষভের বিশ্বাসে প্রতারিত হয়ে তিনি নিজের একটি দামি ঘড়ি মৃণাঙ্কের কাছে বিক্রি করে দেন। মৃণাঙ্ক ঋষভকে ১.৬ কোটি টাকার চেক দেন, কিন্তু সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়।
এছাড়াও, মৃণাঙ্ক হোটেল তাজ প্যালেস থেকে ৫.৫৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি হোটেলে ৭ দিন অবস্থান করে বিল না দিয়ে পালিয়ে যান। হোটেল কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান যে তিনি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
কিছু মাস ধরে দিল্লি পুলিশের ব়্যাডারে ছিলেন মৃণাঙ্ক। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা রুজু হলে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করে দিল্লি পুলিশ। এরপর দেশ ছাড়াতে গিয়ে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসারদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মৃণাঙ্ককে গ্রেফতারের পর চাণক্যপুরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার পাশাপাশি জালিয়াতি ও জালিয়াতি করার চেষ্টার মতো বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃণাঙ্ক বিভিন্নভাবে প্রতারণা করতেন। তিনি নিজেকে দামি ঘড়ি এবং গয়নার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয়ের দাবি করতেন। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণা করতেন।
মৃণাঙ্কের প্রতারণার ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি ঋষভ পন্থের মতো তারকা ক্রিকেটারকেও প্রতারিত করেছেন। তার প্রতারণার ফলে ঋষভের অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে।
মৃণাঙ্কের মতো প্রতারকদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রতারকদের ফাঁদে পা না পড়ার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
অপরিচিতদের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়। অনলাইনে কেনাকাটার সময় সতর্ক থাকা উচিত।কোনো সন্দেহজনক প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত নয়।
যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন, তাহলে অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ জানান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!