logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - আন্তর্জাতিক- পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে, যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে, যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে, যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে । ছবি সংগৃহীত

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক মিসাইল হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর করেছে। ভারতের আক্রমণকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং দেশটি প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তাদের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।


এ সংঘাতের সূচনা হয় গত এপ্রিলে ভারতের কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়, যেখানে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। এ হামলার পর, আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টির দ্রুত সমাধান চেয়ে মন্তব্য করেন।


পাকিস্তান বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে, এবং এর উপর যুদ্ধ বা সামরিক উত্তেজনা আরও বেশি চাপ ফেলবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং রাজস্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসও জানায়, এই উত্তেজনা পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট করতে পারে, এবং আইএমএফ থেকে পাওয়া ৭ বিলিয়ন ডলারও বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন

কানাডার আবাসন সংকটের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ

ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত

ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি দুর্বল। পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ বর্তমানে ১৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যেখানে রিজার্ভ মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার, যা তিন মাসের আমদানি খরচের জন্যও যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় যুদ্ধ বা সামরিক উত্তেজনা বাড়লে বিদেশি ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে যাবে, ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও কঠিন হয়ে পড়বে।


পাকিস্তানের ইতিহাসে এরকম সংঘাতের ফলে দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আফগানিস্তান যুদ্ধের পর দেশটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিও এমনই শঙ্কা সৃষ্টি করছে।


অন্যদিকে, ভারতের অর্থনীতি এতটা ঝুঁকির মধ্যে নেই, কারণ ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য তার মোট রপ্তানির খুবই কম অংশ। তবে, সামরিক খাতে ব্যয়ের বৃদ্ধি এবং পশ্চিম ও চীন সীমান্তে নিরাপত্তা চাপ থাকায় ভারতের জন্যও কিছু প্রভাব পড়তে পারে।


পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ঋণ নিলেও, তাদের চীনের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে, যা পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল করে তুলতে পারে। পাকিস্তানের কৃষি খাতও এই উত্তেজনার প্রভাবের শিকার হতে পারে, কারণ ভারত সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে, যা পাকিস্তানের কৃষি উৎপাদন ও আয়ের জন্য বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: সামরিক সংঘাত ও অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান কি টিকে থাকতে পারবে? বিস্তারিত জানুন।

সুতরাং, পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধরনের সামরিক সংঘাত এড়িয়ে চলা শুধু কৌশলগত নয়, বরং জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং টিকে থাকার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে, যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক মিসাইল হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর করেছে। ভারতের আক্রমণকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং দেশটি প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তাদের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।


সংঘাতের সূচনা হয় গত এপ্রিলে ভারতের কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়, যেখানে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। এ হামলার পর, আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টির দ্রুত সমাধান চেয়ে মন্তব্য করেন।


পাকিস্তান বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে, এবং এর উপর যুদ্ধ বা সামরিক উত্তেজনা আরও বেশি চাপ ফেলবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং রাজস্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসও জানায়, এই উত্তেজনা পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট করতে পারে, এবং আইএমএফ থেকে পাওয়া ৭ বিলিয়ন ডলারও বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।