logo

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

logo

BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম

যোগাযোগের ঠিকানাঃ

House-1, Road-2, Metro Housing Ltd, (Beside RAB-2 Headquarter), Mohammadpur, Dhaka-1207

নিউজ রুম

+8801711701332, +8801766004470

মার্কেটিং এন্ড সেলস

+8801877756675

হোম - আন্তর্জাতিক- আদানির কয়লার দাম নিয়ে পিডিবির সঙ্গে টানাপোড়েন, বিদ্যুৎ বিল নিয়েও অনিশ্চয়তা

আদানির কয়লার দাম নিয়ে পিডিবির সঙ্গে টানাপোড়েন, বিদ্যুৎ বিল নিয়েও অনিশ্চয়তা

আদানির কয়লার দাম নিয়ে পিডিবির সঙ্গে টানাপোড়েন, বিদ্যুৎ বিল নিয়েও অনিশ্চয়তা । ছবি প্রতিনিধি

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের আদানি পাওয়ারের মধ্যে বিরোধ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। পিডিবি বিদ্যুতের দর নির্ধারণে কয়লার দাম কমিয়ে ধরতে মৌখিকভাবে আদানিকে অনুরোধ করেছে, তবে আদানি লিখিত প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা বলেছে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আদানির কয়লার দাম নিয়ে বিতর্কের শুরু

⁠⁠⁠⁠⁠⁠⁠
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে শুরু করে। কিন্তু সরবরাহ শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। আদানি প্রথমে উচ্চমূল্যে কয়লার হিসাব ধরে বিল তৈরি করে, যা পিডিবি প্রত্যাখ্যান করে। পরে আদানি বাংলাদেশকে পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় কম দামে কয়লা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বছরখানেক সেই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও ২০২৩ সালের জুলাই থেকে তারা আবার বাড়তি দর নির্ধারণ করে বিল পাঠাচ্ছে, যা পায়রা ও রামপালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন

ফরিদগঞ্জে মাত্রারিক্ত বিদ্যুৎ বিল ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফরিদগঞ্জে মাত্রারিক্ত বিদ্যুৎ বিল ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশেষ ছাড় পেলেও বাংলাদেশকে ছাড় দিতে নারাজ আদানি


পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ববাজার থেকে বিশেষ ছাড়ে কয়লা কেনার কারণে তুলনামূলক কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সূত্র জানিয়েছে, আদানিও বিশেষ ছাড়ে কয়লা কিনলেও বাংলাদেশকে সেই সুবিধা দিচ্ছে না। বরং তারা প্রতি টন কয়লার দাম পায়রা ও রামপালের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ ডলার বেশি ধরছে।


পিডিবির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির কিছু শর্তের সুযোগ নিয়েই বাড়তি দাম আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি, এমন অভিযোগ উঠেছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে পিডিবি আগের দামই ধরে রেখেছে।


চুক্তি ‘অসম’, বিদ্যুৎ নয়, কয়লা ব্যবসার লক্ষ্যে চুক্তি?


আদানির সঙ্গে করা চুক্তি পর্যালোচনায় সরকারের গঠিত কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা এই চুক্তি একপক্ষীয় এবং আদানির জন্য সুবিধাজনক। তার মতে, চুক্তির কয়লার দামের সূত্র বিশ্লেষণ করলে মনে হয়, এটি বিদ্যুৎ বিক্রির থেকে কয়লা বিক্রির দিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আদানি।

আরও পড়ুন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া: দেড় কোটি টাকার চাপ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া: দেড় কোটি টাকার চাপ । ছবি- প্রতিনিধি

আলোচনায় সমাধান খোঁজার চেষ্টা


গত সপ্তাহে অনলাইন বৈঠকে কয়লার দাম নিয়ে আলোচনা হয়। পিডিবি কয়লার আমদানি পর্যায়ে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে আগের মতো ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের অনুরোধ জানায়। আদানি এখনো কোনো মতামত দেয়নি, তবে লিখিত প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে।


পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেছেন, "আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত আগের দামেই বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।"


কত দাম পড়ছে বিদ্যুতের?


২০২৩-২৪ অর্থবছরে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে খরচ হয়েছে ১১.৮৩ টাকা, আর আদানির কাছ থেকে কিনতে লেগেছে ১৪.৮৭ টাকা। আদানির কয়লার দামে ছাড় না পেলে এই খরচ আরও বাড়তে পারে।


গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ


বর্তমানে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিনে সর্বোচ্চ ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে শীতকালে চাহিদা কম থাকায় গত তিন মাস ধরে একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছিল। গ্রীষ্ম মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আদানিকে সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে পিডিবি। আদানি গত মঙ্গলবার বন্ধ থাকা ইউনিট চালু করলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা আবার বন্ধ হয়ে গেছে।


বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় এই দর কষাকষির দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়, আলোচনার মাধ্যমে আদানি ও পিডিবির মধ্যে সমঝোতা কত দ্রুত হয় এবং বাংলাদেশ কয়লার দাম কমানোর সুবিধা আদায় করতে পারে কিনা।

মন্তব্য করুন ( 0 )

মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!

আরও খবর দেখুন

আদানির কয়লার দাম নিয়ে পিডিবির সঙ্গে টানাপোড়েন, বিদ্যুৎ বিল নিয়েও অনিশ্চয়তা

বিডিসিএন ২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি

image

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের আদানি পাওয়ারের মধ্যে বিরোধ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। পিডিবি বিদ্যুতের দর নির্ধারণে কয়লার দাম কমিয়ে ধরতে মৌখিকভাবে আদানিকে অনুরোধ করেছে, তবে আদানি লিখিত প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা বলেছে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আদানির কয়লার দাম

নিয়ে বিতর্কের শুরু

⁠⁠⁠⁠⁠⁠⁠
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে শুরু করে। কিন্তু সরবরাহ শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। আদানি প্রথমে উচ্চমূল্যে কয়লার হিসাব ধরে বিল তৈরি করে, যা পিডিবি প্রত্যাখ্যান করে। পরে আদানি বাংলাদেশকে পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় কম দামে কয়লা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বছরখানেক সেই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও ২০২৩ সালের জুলাই থেকে তারা আবার বাড়তি দর নির্ধারণ করে বিল পাঠাচ্ছে, যা পায়রা ও রামপালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।