BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলের শুরু কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। এক সময় তাড়াইল উপজেলার দেশীয় মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়ে বাজারজাতসহ বিদেশে রপ্তানি করা হতো। এখন আর তা হয় না বললেই চলে। খামারের মাছই এখন বাজার দখল করে ফেলেছে।এক যুগ আগেও উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। অভয়াশ্রম না থাকা, অপরিকল্পিত জলমহাল ইজারা দেয়া, নির্বিচারে ডিমওয়ালা মাছ নিধন, ফসলী জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে এখন আর আগের মতো হাওরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এক যুগ আগে হাওরে ২৫৩ প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন বিলুপ্তির পথে রয়েছে অন্তত ৬৪ প্রজাতির মাছ। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতিকে সংকটাপন্ন ও ৯ প্রজাতির মাছকে চরম সংকটাপন্ন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।জানা যায়, এক সময় দেশের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত তাড়াইল উপজেলায় অগণিত নদী বিল, হাওর ও খালে পরিপূর্ণ ছিল। মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ এ উপজেলায় প্রায় ২৫০ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর তা নেই। নদী নাব্যতা হ্রাস, খাল-বিল ভরাট করে কৃষি খেত অথবা ঘর তৈরি, জলমহালগুলোতে ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা, মাছের অভয়াশ্রমের পার্শ্ববর্তী জমিগুলোতে কীটনাশকের ব্যবহারে মাছ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দিয়ে মাছের চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সেচ প্রকল্প, বিষ প্রয়োগে পাটি বাঁধ ও বিলের পানি সেচের মাধ্যমে মাছ আহরণসহ নানা কারণে হাওড় অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের পথে।