BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এই দাবিগুলো উল্লেখ করেন।তিনটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ। কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে বলেন, 'গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সাথে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সাথে জড়িত।'এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এছাড়া তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।'এর আগে গতকাল বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।