BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
আজ ২৪ ডিসেম্বর বরগুনার উপকূলবাসীর জন্য আরও একটি স্বজন হারানোর শোকের দিন।২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিকাল-৫ টায় বরগুনার উদ্দেশ্য ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৩ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে এম,ভি,অভিযান-১০ লঞ্চ।রাত আনুমানিক ৩ টা থেকে সাড়ে ৩ টার দিকে ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে হঠাৎ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। আকস্মিক এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪১ জন যাত্রী।চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান আরও ৮ জন।নিঁখোজ ৩০ জনের মধ্য ১৪ জনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষায় পাওয়া গেলেও ১৭ জনের ডিএনএ আলামত পাওয়া যায়নি মৃতদেহ পুড়ে কয়লা হবার কারনে।পরিচয় পাওয়া ৩২ জনের পরিবার প্রতি নৌ- দূর্যোগ তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া ব্যাতিত সরকারের পক্ষ থেকে ২ বছরে কোন ধারনের সহায়তা দেয়া হয়নি নিহত বা আহতদের পরিবারকে।নিহত ৪৯ জনের মধ্য ২৫ জনের মৃতদেহ বরগুনা জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী আবাসন এলাকায় খাকদন নদীর দক্ষিন পাড়ে গনকবরে ২৩ জনকে সমাধিস্থ করা হয়। একজনের মৃতদেহ ঝালকাঠিতে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।পোটকাখালী আবাসনের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান,নিহতদের স্বজনরা কেউ আসেননি সমাধিতে। ২ বছরেই ভুলে গেছেন তাদের।বাবাকে হারানো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বেইল হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃ মাহমুদ মিরাজ বলেন,বাড়ীতে বাবার স্মরণে কোরআনখানী আর দোয়া করেছি।মাদ্রাসায়ও একই আয়োজন করা হয়েছে। দূর্ঘটনার সময় হাফেজ মিরাজ, তার বৃদ্ধ বাবা,মা তার স্রী ও শিশু সন্তান একই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন।অন্যরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করতে পারলেও বৃদ্ধ বাবা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহতদের স্মরণে আজ রোববার সন্ধা ৬ টায় বরগুনা যাত্রী অধিকার সংরক্ষন কমিটি বরগুনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলনের আয়োজন করেছে।