BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
শীতকাল মুসলমানদের জন্য বরকতময় একটি মৌসুম হিসেবে বিবেচিত। দিনে সময় কম, গরমের চাপ নেই—ফলে কাজা, নজর, কাফফারা কিংবা নফল রোজা রাখার জন্য শীতকে আদর্শ সময় মনে করছেন আলেমরা।মাওলানা শরিফ হাসান শাহীন বলেছেন, শীতের দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখায় বিশেষ সহজতা তৈরি হয়। সালাফে সালেহিনরা শীতকে ‘মুমিনের বসন্তকাল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নবীজি (সা.)-ও বলেছেন, “শীতের রোজা ঠান্ডা লাভ”—অর্থাৎ সহজে সওয়াব অর্জনের সুযোগ।রোজা আদায়ে শীতের বিশেষ সুবিধাদিন ছোট ও গরম কম থাকায় রোজা রাখা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। যারা রমজানের কাজা রোজা রেখে উঠতে পারেননি, তাদের জন্য শীতকালকে ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন ধর্মবিশেষজ্ঞরা।এ ছাড়া ৬০ দিনের কাফফারার রোজার ক্ষেত্রেও শীতকে সবচেয়ে সুবিধাজনক সময় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।নফল রোজায় বাড়তি তাওফিকনবী করিম (সা.) বলেছেন, “রোজার সমতুল্য কোনো ইবাদত নেই।” শীতে এই নফল রোজাগুলো আরও সহজ হয়, ফলে মুসলিমরা নেক আমল করার অনুপ্রেরণা পান।শীতের দীর্ঘ রাত—ইবাদতের উপযোগী সময়শুধু রোজা নয়, দীর্ঘ রাত কিয়ামুল্লাইল বা নফল ইবাদতের জন্যও সহায়ক। ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম ইবাদত হলো রাতের নামাজ—হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।কেন শীতকে মুমিনের বসন্ত বলা হয়রোজা সহজদীর্ঘ রাতে বেশি ইবাদতশারীরিক ক্লান্তি কমকাজা ও কাফফারা শোধের সুযোগনফল আমলে আগ্রহ বৃদ্ধিআলেমদের মতে, শীতকাল শুধু ঋতু নয়; এটি মুমিনদের ইবাদত ও নেক আমলে ফিরে আসার এক বিশেষ মৌসুম।