BDCN24 হল সংবাদ, মতামত এবং বিনোদনের জন্য একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি পাঠক এবং শ্রোতাদের রাখার জন্য একটি ২৪/৭/৩৬৫ এর প্ল্যাটফর্ম
চট্টগ্রাম: রমজান মাস শুরু হতেই চট্টগ্রামের পাইকারি কাপড়ের বাজারগুলোতে ঈদের আমেজ দেখা যাচ্ছে। ঈদুল ফিতর এখনো মাসখানেক বাকি থাকলেও থানকাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগেভাগেই থানকাপড় কিনে দর্জির কাছে দিয়ে পছন্দের ডিজাইনে সেলাই করে নেওয়ার জন্যই এই প্রস্তুতি।টেরিবাজার: চট্টগ্রামের থানকাপড়ের পাইকারি বাজারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেরিবাজার। এখানে কথা হয় হালিশহর এলাকার গৃহিনী উম্মে কুলসুমের সাথে। তিনি জানান, তার দুই মেয়ের জন্য নেট কাপড়ের চার সেট থ্রিপিসের কাপড় কিনেছেন। সেগুলো হালিশহর এলাকার একটি টেইলার্সের কাছে সেলাই করতে দিবেন। মেয়েদের বায়না অনুযায়ী সেলাইয়ের পর সেগুলোর উপর সুতো, চুমকি ও পাথরের কাজ করাবেন। তাই আগেভাগেই সেলাই করতে দিচ্ছেন।বিক্রেতাদের বক্তব্য: টেরিবাজারের ‘মনে রেখো’ নামের একটি শোরুমের বিক্রয়কর্মী মাসুদ উল্লাহ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরেই থানকাপড়ের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। প্রতি বছর রোজার শুরুর দিনগুলোকে টার্গেট করে থানকাপড় বিক্রির লক্ষ্য থাকে। এবারো ভালো বিক্রি হয়েছে।’ টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘১০ রোজার পর থেকে দর্জিরা আর ক্রেতাদের কাছ থেকে সেলাইয়ের অর্ডার নেন না। এ কারণে রোজার শুরুতেই সেলাইবিহীন কাপড় কিনে দর্জির হাতে পৌঁছে দেয়ার টার্গেট থাকে সবার। গত দুই দিন টেরিবাজারের বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। তবে প্রথম দুই রোজায় একটু কম হবে। এরপর ১০ রোজা পর্যন্ত থানকাপড় বিক্রি চলবে। এরপরে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও রেডিমেড কাপড় বিক্রি শুরু হবে।’