আসন্ন ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটির সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনাগুলো:
১. জনবল: ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া। জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।অন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানদের প্রতিদিন কাজের তদারকি করতে হবে।
২. চিকিৎসা সেবা: জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব ও এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. ঔষধ ও সরঞ্জাম: ছুটি শুরু হওয়ার পূর্বেই পর্যাপ্ত ঔষধ, আইভি ফ্লুয়িড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. নিরাপত্তা: ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।
৫. যোগাযোগ: প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন।
৬. দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি: প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন।
দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
৭. রোগীদের খাবার: ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন।
৮. রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়: প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এই নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অনুমোদন রয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!