অনেক সময় আমরা দেখি, কেউ খুব একটা পরিশ্রম না করেই হাঁপিয়ে উঠছে। এর সাথে বুকে ধড়ফড় করা, মাথায় ঘোরা, বমি বমি ভাব এমন কিছু লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাকে আমরা সাধারণত "শ্বাসকষ্ট" বলে থাকি। তবে এর পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।
কারণ:
হৃদরোগ: হৃদরোগ সবচেয়ে সাধারণ কারণ। হৃৎপিণ্ড যদি দুর্বল হয় বা রক্তনালীতে বাধা থাকে, তাহলে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করতে পারে না। এর ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণেও হাঁপিয়ে ওঠা হতে পারে। এই রোগগুলোতে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আদান-প্রদানে বাধা সৃষ্টি হয়।
রক্তশূন্যতা: রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের অভাব থাকলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে পারে না। এর ফলেও হাঁপিয়ে ওঠা হতে পারে।
অন্যান্য কারণ: থাইরয়েড সমস্যা, উদ্বেগ, মাত্রাতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ইত্যাদি কারণেও হাঁপিয়ে ওঠা হতে পারে।
লক্ষণ: হাঁটা বা সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট,বুকে ধড়ফড় করা বা ব্যথা,মাথায় ঘোরা,দ্রুত শ্বাস,বমি বমি ভাব,অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:যদি হঠাৎ করে হাঁপিয়ে ওঠে,বুকে তীব্র ব্যথা হয়,শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়,
মাথায় ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যায়,নীল রঙে ঠোঁট বা মুখ হয়ে যায়
ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস জিজ্ঞাসা করবেন।রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
চিকিৎসা নির্ভর করবে হাঁপিয়ে ওঠার কারণের উপর। হৃদরোগের জন্য ওষুধ, অস্ত্রোপচার বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার জন্য ইনহেলার, ওষুধ বা অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে। রক্তশূন্যতার জন্য লোহের সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন।
প্রতিরোধ:নিয়মিত ব্যায়াম করা,স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া,ধূমপান ত্যাগ করা,ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,মানসিক চাপ কমানো,নিয়মিত চিকিৎসা
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!