চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি। স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর মতলবসহ আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ২.২৫ একর জমিতে গড়ে ওঠা মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি।
ভৌগলিক অবস্থান এবং সেবা মান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রটি আস্থা অর্জন করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সেবার মান বৃদ্ধি এবং চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের আন্তরিকতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসে এই হাসপাতালে। ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও বর্তমানে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি থাকে ৭০-৮৫ জন, মাঝে মাঝে এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৯০-১০০ জনের মধ্যে। এতে করে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কারণে প্রতিদিন হাসাপাতালের বহিঃবিভাগে সেবা নিতে আসে ৫০০-৬০০ জন রোগী।
এছাড়াও এন.সি.ডি কর্ণার, জিন এক্সপার্ট মেশিন, আট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, এক্স-রে, দন্ত চিকিৎসা এবং নারীদের জরায়ু পরীক্ষার জন্য ভায়া কর্ণার, শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার আইএমসিআই কর্ণার, যক্ষা রোগীদের সেবা ও ঔষধ বিতরণের ব্যবস্থা। প্রসুতি মায়েদের প্রসব পূর্ব ও পরবর্তী সেবা প্রদানে রয়েছে এএনসি কর্ণার।
হাসপাতালটিতে প্রসূতি মায়েদের সেবায় চালু রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা। যদিও বর্তমানে অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। সেবা নিতে আসা ভর্তি রোগীদের জন্য রয়েছে পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড ও আইসোলেটেড ডেঙ্গু ওয়ার্ড।
জেনারেল সার্জারির পাশাপাশি রয়েছে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষ এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাজিব কিশোর বণিক বলেন, প্রতিদিন বহিঃবিভাগে ৫০০-৬০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ রোগীদের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ্ মোঃ মহিবুল্লাহ্ সৌরভ জানান, ৫০ শয্যার লোকবল দিয়ে আমরা সেবার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ১০০ শয্যার করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালনায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সকলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
লগইন
মতলব দক্ষিণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ চরম ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!